সকালে ভেজানো কাঠবাদাম খাওয়ার উপকারিতা কী?

সকালে ভেজানো কাঠবাদাম খাওয়ার ১০টি অসাধারণ উপকারিতা


সকালে পানিতে ভেজানো কাঠবাদাম খাওয়ার অভ্যাস শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, বি, ডি, সঙ্গে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, জিঙ্ক, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও নানা ধরনের খনিজ উপাদান।





ভেজানো কাঠবাদাম শরীরে সহজে হজম হয় এবং এর পুষ্টিগুণ দ্রুত শোষিত হয়। নিয়মিত সকালের নাশতার পর ভেজানো কাঠবাদাম খেলে যে উপকারগুলো পাওয়া যায় তা হলো—


1. মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি ও কার্যক্ষমতা বাড়ায়


কাঠবাদামে থাকে রিবোফ্লেভিন ও এল-কারনিটিন, যা মস্তিষ্কের কোষকে সক্রিয় রাখে এবং মেমোরি পাওয়ার বৃদ্ধি করে। এটি আলঝেইমার ও অন্যান্য স্নায়ুরোগ প্রতিরোধেও সহায়ক।


2.হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে


বাদামে থাকা প্রোটিন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন ই হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।


3.রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে


গবেষণায় দেখা গেছে, খাবারের পর কাঠবাদাম খেলে রক্তে ইনসুলিন লেভেল স্থিতিশীল থাকে, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

4. ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক


কাঠবাদাম কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে এবং পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে।


5. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে


এতে থাকা ফসফরাস ও সোডিয়াম রক্তচাপের ওঠানামা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, ফলে হাই ব্লাড প্রেশার কমে।


6.ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে


ভেজানো কাঠবাদাম খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে, ফলে অযথা অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।


7. ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়


কাঠবাদাম শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়াতে সাহায্য করে।

8. হাড় ও দাঁত মজবুত করে

 

এর মধ্যে থাকা ফসফরাস ও মিনারেল হাড় ও দাঁতকে শক্ত রাখে এবং অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।
 
 
 



9.  কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে


কাঠবাদামের ফাইবার হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। এটি কার্ডিওভাসকুলার রোগীদের জন্যও উপকারী।


10.রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়


ভিটামিন-ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে, ফলে নানা ধরনের সংক্রমণ থেকে দেহ সুরক্ষিত থাকে।


কিছু সতর্কতা অবলম্বন :-


প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩টি ভেজানো কাঠবাদাম খাওয়াই যথেষ্ট। গ্যাস্ট্রিক বা বাদামে অ্যালার্জি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে খাওয়া উচিত।

Post a Comment

Previous Post Next Post