গলার ক্যানসারের প্রাথমিক ৫টি সতর্ক সংকেত!
গলার ক্যানসার একটি মারাত্মক রোগ। এটি সাধারণত কণ্ঠনালি ও গলার আশেপাশের টিস্যুতে আক্রমণ করে। সমস্যাটা হলো—প্রথম দিকে এর লক্ষণগুলো অনেকেই সর্দি-কাশি বা হালকা গলা ব্যথা ভেবে এড়িয়ে যান। ফলে রোগ ধরা পড়ে দেরিতে। অথচ প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে চিকিৎসা অনেক সহজ হয় এবং সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে।
চিকিৎসকরা বলছেন, নিচের ৫টি লক্ষণ যদি একটানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে থাকে, তবে অবহেলা না করে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
1️⃣ দীর্ঘস্থায়ী গলার ব্যথা
যদি কয়েক সপ্তাহ ধরে গলায় ব্যথা থাকে এবং সাধারণ ওষুধে কমে না, তবে এটি ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। অনেক সময় রোগীরা এটিকে ‘রেজার ব্লেড গলা’ বলে বর্ণনা করেন।
2️⃣ কণ্ঠে পরিবর্তন বা হোয়াজনেস
গলার ক্যানসার কণ্ঠনালিকে প্রভাবিত করে, ফলে স্বর দুর্বল হয়ে যায় বা ভাঙা ভাঙা শোনায়। সাধারণ সর্দি-কাশির মতো নয়, এই পরিবর্তন স্থায়ী হয়ে যায় এবং সময়ের সঙ্গে খারাপ হয়।
3️⃣ গিলতে কষ্ট বা ব্যথা
প্রথমে হয়তো খাবার গিলতে খুব সমস্যা হয় না, কিন্তু সময়ের সঙ্গে গলায় ব্যথা, জ্বালা বা খাবার আটকে যাওয়ার অনুভূতি তৈরি হতে পারে।
4️⃣ ঘাড়ে ফোলাভাব বা লাম্প
গলার ক্যানসারের কারণে ঘাড়ের লিম্ফ নোড শক্ত হয়ে ফুলে যায়। সাধারণ সংক্রমণের মতো এগুলো সহজে সেরে যায় না।
5️⃣ অপ্রত্যাশিত ওজন কমা ও ক্লান্তি
গিলতে সমস্যা হওয়ার কারণে খাবার কম খাওয়া হয়, আর শরীর ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে শক্তি হারায়। এর ফলে হঠাৎ ওজন কমে যায় এবং সবসময় দুর্বল লাগে।
⚠️ সতর্কবার্তা
এই লক্ষণগুলোকে কখনোই হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। গলার ব্যথা, হোয়াজনেস, গিলতে সমস্যা, ঘাড়ে লাম্প বা হঠাৎ ওজন কমা—এসব উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
🩺 পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান-তামাক এড়িয়ে চলা এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা গলার ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

Post a Comment