🫀 হার্ট অ্যাটাক এর এক মাস আগে যে ১২ টি সংকেত দেয় শরীর।
অনেকে মনে করেন হার্ট অ্যাটাক মানেই হঠাৎ ঘটে যাওয়া প্রাণঘাতী ঘটনা। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, এর অন্তত এক মাস আগে শরীর নীরবে নানা সতর্ক সংকেত পাঠায়। এগুলোকে বলা হয় প্রোড্রোমাল সিম্পটম। সময়মতো সতর্ক হয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে জীবন বাঁচানো সম্ভব।
হার্ট অ্যাটাক সবসময় হঠাৎ ঘটে নাহার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকলে, হাসপাতালে যেতে দেরি হতে পারে। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটে যেতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে, হার্ট অ্যাটাকের আগে অন্তত ১২টি সাধারণ উপসর্গ দেখা দিতে পারে:
যেমন-
✸ বুকে ব্যথা – প্রায় ৬৮% রোগীর ক্ষেত্রে হয়ে থাকে
✸ বুক ভারী বা চাপ লাগা – ৪৪% রোগীর ক্ষেত্রে হয়
✸ হৃদস্পন্দনের গতি বেড়ে যাওয়া বা অনিয়মিত হওয়া
✸ শ্বাসকষ্ট
✸ বুকে জ্বালাপোড়া, অ্যাসিডিটির সঙ্গে গুলিয়ে ফেলার ঝুঁকি
✸ অকারণে ক্লান্তি বা অস্বস্তি ( বিশেষ করে নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়)
✸ মাথা ঘোরা বা অস্থিরতা
✸ বমি বমি ভাব বা পেটের সমস্যা
✸ উদ্বেগ বা অজানা আতঙ্ক
✸ ঘুমের সমস্যা ➤ রাতে শ্বাসকষ্ট বা ঘুম ভাঙা
✸ পা বা গোড়ালি ফুলে যাওয়া
✸ শরীরের অন্য অংশে ব্যথা ➤ হাত, পিঠ, ঘাড়, বা চোয়াল।
নারী ও পুরুষের উপসর্গে মধ্য পার্থক্য
চিকিৎসকদের মতে, নারীদের উপসর্গগুলো অনেক সময় ভিন্নভাবে দেখা দেয়—
➤ অতিরিক্ত ক্লান্তি
➤ হজমের সমস্যা
➤ পিঠে বা চোয়ালে ব্যথা
এ কারণে নারীরা অনেক সময় উপসর্গকে অবহেলা করেন, ফলে চিকিৎসা নিতে দেরি হয়।
কেন আগে থেকে সংকেত দেয় শরীর?
হার্ট অ্যাটাকের মূল কারণ হলো হৃদপিণ্ডে রক্তপ্রবাহে বাধা। ধমনিতে প্লাক জমে ধীরে ধীরে ব্লকেজ তৈরি হয়, যা এক মাস আগে থেকেই উপসর্গ হিসেবে প্রকাশ পায়।
শেষ মুহূর্তের তীব্র সংকেত
হার্ট অ্যাটাকের ঠিক আগে দেখা দিতে পারে
➤ তীব্র বুক ব্যথা
➤ অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়া
➤ শ্বাসকষ্ট
➤ চোয়াল, ঘাড় বা পিঠে তীব্র ব্যথা
এগুলো দেখা দিলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
হার্ট অ্যাটাক সবসময় হঠাৎ করে আসে না। তাই নিয়মিত বুক ব্যথা
➤অকারণে ক্লান্তি
➤শ্বাসকষ্ট
➤ঘুমের সমস্যা
এসব উপসর্গকে অবহেলা না করে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই প্রাণ বাঁচানোর মূল উপায় হতে পারে।

Post a Comment